কুমিল্লার মেঘনায় তিন বছরেও মানিকারচর- চন্দনপুর তিন কিলোমিটার সড়কে ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৯ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ,কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছরেরও পেরিয়ে গেলেও সংস্কার কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারকে কাজ বাতিলের চিঠি দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী, রাস্তা সংস্কার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মানিকারচর বাজার থেকে চন্দনপুর লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত ৩কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় সোহাগ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান, এই কাজের চুক্তি মূল্য ছিল এক কোটি ৬৮ লাখ ৩২হাজার ১৬৪ টাকা, এই কাজের ২০১৮ সালের ৬ মে কার্যাদেশ পায় ঠিকাদার, এই রাস্তা দিয়ে মানিকারচর ও চন্দনপুর ইউনিয়নের চন্দনপুর,ধুনিপাড়া,গোপালনগর, জয়পুর, মাধবপুর, বড় নোয়াগাঁও, উত্তর বাউশিয়া, ছোট নোয়াগাঁও, মাহাতাবের কান্দি, মানিকারচর,বাগাউকান্দি,সাপমাড়া,শিবনগর,তুলাতলী গ্রামের মানুষ এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এ ছাড়াও আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর,কালাপাহারিয়া,ঝাউকান্দি,হাজির টেক, উলুকান্দি গ্রামের মানুষ নদী পাড় হয়ে এই সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে , নির্মাণ কাজের সময় তিন বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলও নির্মান কাজ শেষ করিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, গত ৪ আগষ্ট ২০১৯ নিবাহী প্রকৌশলী কুমিল্লা ছোবহান আলী চুরান্ত নোটিশ দেন ঠিকাদারকে কাজ বাতিলের জন্য, আবারও গত ২০২০ সালের ১৯ মার্চ উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান নির্বাহী প্রকৌশলী কুমিল্লাকে চিঠি লেখেন এই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করতে, পরবর্তীতে গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ নির্বাহী প্রকৌশলী কুমিল্লা খন্দকার আসাদুজ্জামান যমুনা ব্যাংক ভবেরচর শাখার ব্যবস্থাপক কে চিঠি লিখেন ঠিকাদারের পারফরমেন্স সিকিউরিটির পে-অর্ডার এর ৮লক্ষ ৪১হাজার ৬০৮টাকা নগদান করে তার একাউন্টে তিন দিনের মধ্যে পেমেন্ট করতে।
সরেজমিন মানিকারচর- চন্দনপুর রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে রাস্তা বেশি পাঁচ জায়গায় ম্যেকাডম করে রাখা হয়েছে, পুরু রাস্তা জুরে গাড়ি চলাচলের কারণে বালি ও ইটের গুড়া বাতাসে মিশে আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, রাস্তায় অনেক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অনেক জায়গায় এখনও এজিনের ইট বসানো হয়নি।
জয় নগর গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, এ রাস্তাটি আমাদের দুর্ভোগের চিত্র হয়ে উঠেছে, জামাল মেম্বার তিন বছরেও কাজ শেষ না করায় আমাদের একমাত্র উপজেলা সদরে যাওয়ার রাস্তাটির বেহাল দশা তার ওপর ধুলাবালিতে ঘরে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।
অটোরিকশা চালক শাহ আলম জানান, এ রাস্তা ভাঙাচোরা থাকায় গত তিন বছর আগে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার কিন্তু আজও রাস্তা সংস্কার শেষ না হওয়ায় আমরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি প্রতিদিন, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে ধুলাবালিতে চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা।
পিকআপ চালক মনির হোসেন জানান এ রাস্তার খারাপ অবস্থা গত সাত বছর যাবত, গত তিন বছর আগে কন্টাকটার কাজ শুরু করে কিন্তু আজও কাজ শেষ না হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছে আমাদের এলাকার মানুষ, এই রুটে যাতায়াতকারী মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে।
সোহাগ এন্টার প্রাইজ এর মালিক জামাল উদ্দিন জানান,
উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, কাজ না করা ও কাজের গুণগত মান ঠিক না থাকায় এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা চূড়ান্ত চিঠি দিয়েছি কাজ বাতিল করে,ইতিমধ্যে তার পারফরমেন্সে সিকিউরিটির টাকা কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের একাউন্টে নগদায়ন করা হয়েছে, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে এই কাজটি করার ব্যবস্থা করব, মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এই কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে।